অভিমত تعليق
শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী
شيخ الاسلام مفتي تقي عثماني
১৯২৩ সালে তুরস্কে উসমানী খেলাফত বিলুপ্ত করে তৎকালীন শাসকদল ধর্মহীন শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। যার ফলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশাসন গুলোর বিরুদ্ধে কঠোর হস্তক্ষেপ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একসময় তুরস্কে আরবীতে আযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। আরবী ভাষায় ধর্মীয় বইপুস্তক প্রকাশ ও শিক্ষাদানের প্রতিও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। জনসাধারণকে টুপির স্থানে ইংলিশ হ্যাট পরিধান করার আইন প্রণয়ন করে জোর-জবরদস্তি করা হয়। মোটকথা, এসব ধর্মবিবর্জিত হিংস্র কার্যকলাপ আর অন্য কোন ইসলামী জনপদে দৃশ্যমান হয়নি। আল্লাহর মেহেরবানিতে পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে থাকে। কিন্তু তুরস্কের শাসনব্যবস্থায় ধর্মহীনতা জেঁকে বসে এবং দেশের ধর্মীয় আকাশ আল্লাহ্ দ্রুহীদের আন্ধকার মেঘে ছেয়ে যায়। বর্তমানে আল্লাহর মেহেরবানিতে এই ভয়ংকর অবস্থার আশাব্যঞ্জক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের ধর্মীয় এ অমানিশার ঘনঘটায়ও তুরস্কের ওলামায়ে কেরাম ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে অবস্থার মোকাবেলা করতে থাকেন। তারা বিভিন্ন অঙ্গনে নিজেদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। এ ধারার কার্যক্রমে কয়েকটি গ্রুপ অত্যন্ত উজ্জ্বল হয়ে আছে। প্রথমত, ঐসব আলেম যারা দৃশ্যপটের আড়ালে থেকে ইসলামী শিক্ষার সংরক্ষণের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করতে থাকেন।
দ্বিতীয়ত, আল্লামা বাদীউযযামান সাঈদ নূরসী রহ.-এর অরাজনৈতিক ঈমানী আন্দোলন। তিনি তার রচিত রিসালায়ে নূরের দাওয়াত ও তাবলীগ এবং ইসলাহী লেখনীর মাধ্যমে অলৌকিকভাবে নওজোয়ানদের মধ্যে ইসলামী নবজীবনের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। তার প্রভাব সমাজের প্রত্যেক স্তরের জনসাধারণের মাঝে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তৃতীয়ত, দাওয়াত ও তাবলীগের প্রভাব এর সাথে এক হয়েছে। বর্তমানে এই তিন দলের ইসলাম প্রচার ও প্রসারের প্রভাব বেড়েই চলেছে।
মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী রচিত
‘দুনিয়া মেরে আগে কিতাব থেকে সংগৃহীত
P’ no 75-76 6668.
অভিমত تعليق
শাইখ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ
شيخ عبد الفتاح ابو غده
শাইখ সাঈদ নুরসী হলেন, বিপদ মুকাবেলায় পাহাড়ের দৃঢ়তা নিয়ে এড়িয়ে থাকা জগদ্বিখ্যাত আলেম। মুসিবতের বেলায় ভাসতে থাকা এক চেতনাকর দ্বীনের দাঈ। জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম মুহূর্তে সত্যের ওপর টিকে থাকা এক মর্দে মুমিন। জীবনযুদ্ধে আল্লাহর হুকুমের ওপর অবিচল থাকা এক সাহসী মুজাহিদ। ইবাদত ও সাধনায়, যিকির ও মুযাকারায় আত্মসমাহিত এক দরবেশ।
‘বদীউযযামান’ উপাধি যাকে জগতে খ্যাতি এনে দিয়েছে। উস্তায বাদীউযযামান সাঈদ নূরসী তুরস্কের ইসলামি জাগরণের অগ্রদূত। তাঁকে তুরস্কের ধর্মীয় জাগরণের অগ্রসেনা বলে গণ্য করা হয়। আধুনিক সময়ে তাঁকে ইসলামি জাগরণের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রীয় পুরুষ হিসাবে গণ্য করা হয়।
আল্লাহ পাক স্বীয় ক্ষমা ও মাগফিরাতের চাদরে তাঁকে ঢেকে নিন। তার অফুরন্ত রহমত ও অনুগ্রহ তার ওপর বর্ষন করুন। আমাদেরকে ও সকল মুসলমানকে তাঁর জ্ঞান দ্বারা উপকৃত করুন। আমীন।
শাইখ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ. রচিত ‘আল-উলামা উল উযযাব আল্লাযিনা আছারুল ইলমা আলায-যাওয়াজ গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।