এই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্বের অর্থ ও উদ্দেশ্য হল মহাবিশ্বের স্রষ্টাকে জানা এবং তাঁর উপাসনা করা। মানুষ, যে স্বভাবতই চিরন্তন হতে চায় এবং নিরন্তর আকাঙ্ক্ষা ও সীমাহীন কষ্টের মধ্যে থাকে, সে অনন্ত সুখ এবং অনন্ত জীবন দাবি করে।
মহাবিশ্বের স্রষ্টাকে জানার উপায় এবং এই সুখে পৌঁছানোর উপায় এবং সেই সাথে সমস্ত আধ্যাত্মিক চাহিদা পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
তাফসিরের মাধ্যমে পবিত্র কুরআন বোঝা সম্ভব, যা এর অর্থের ব্যাখ্যা। হযরত। মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময় থেকে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার তাফসীর লিখেছেন মহান ব্যক্তিত্বরা। এবং এই ব্যাখ্যাগুলি তাদের সমসাময়িকদের আলোকিত ও পরিচালিত করেছিল।
আজ এমন সময় যখন সত্যিকারের স্রষ্টাকে জানার প্রয়োজন সবচেয়ে তীব্র। আমাদের যুগের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হল হৃদয়ের কলুষতা, বিশ্বাস ও নৈতিকতার অবনতি, বিজ্ঞান ও দর্শন থেকে আসা বিশ্বাসের ভিত্তিকে অস্বীকার করার কারণে।
আমাদের শতাব্দী, পূর্ববর্তী শতাব্দীর বিপরীতে, বস্তুবাদী এবং নাস্তিক ধারণার কারণে সন্দেহ ও অস্বীকারের শতাব্দী। অতএব, বিশ্বাসের সত্যগুলি আধুনিক লোকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে যারা সমস্ত কিছুর কারণ এবং সারমর্ম শিখতে চায় এবং যারা অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে চায় না, যুক্তিযুক্ত, যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণের সাহায্যে।
এখানে, “রিসালে-ই নূর” হল পবিত্র কুরআনের অর্থের একটি তাফসীর যা আধুনিকতার এই প্রয়োজনে সাড়া দেয় এবং আমাদের যুগের চিন্তা ও চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বইগুলি অনেকগুলি উদাহরণ ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির দৃঢ় উত্তর দেয় যা প্রত্যেক ব্যক্তি বিস্মিত হয়:
● “আমি কে?”
● “আমি কোথা থেকে এসেছি?”
● “আমি কোথায় যাব?”
● “আমার জীবনের মানে কি?”
● “মহাবিশ্বের প্রাণীরা কোথা থেকে আসে এবং কোথায় যায়?”
● “তাদের অস্তিত্বের অর্থ কি?”
“রিসালেত-ই নূর”, পবিত্র কুরআনের একটি ভাষ্য, বস্তুনিষ্ঠভাবে বিশ্বাসের সত্য ও নীতিগুলিকে ব্যাখ্যা করে এবং সমসাময়িক মানুষের আধ্যাত্মিক চাহিদার প্রতি সাড়া দেয়।
যে কোনো বই সম্পর্কে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র সেই বইটি ব্যক্তিগতভাবে পড়া এবং পরীক্ষা করার পরেই নেওয়া যেতে পারে। এই নিয়ম রিসালে-ই নূরের জন্যও বৈধ। অন্য ভাষায় এই ব্যাখ্যার প্রকৃত অর্থ ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন। এই পরিচায়ক সাইটে, এই বইগুলির কিছু বিভাগ উদাহরণ হিসাবে আপনার পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে।
প্রচেষ্টা আমাদের পক্ষ থেকে, সফলতা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে।
