রিসালে নূর সংকলন
“রিসালে-ই নূর” মূলত ১৯১০ থেকে শুরু করে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রচিত। (যদিও মূল অংশের রচনার কাজ শুরু করেন। ১৯২৬ সালে)। “রিসালে-ই নূর” প্রায় ৬০০০ হাজারের অধিক পৃষ্ঠা সম্বলিত একটি রচনা সংকলন। এতে রয়েছে প্রায় ১৩০ এর অধিক প্রবন্ধ (থিসিস বা গবেষণা বা রিসালে)। এসব রচনার কোনটি ২-৩ পৃষ্ঠা আবার কোনটি ৮০-৯০ পৃষ্ঠাব্যাপি।
“রিসালে-ই নূর” অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রন্থ যা লেখকের নিজ হাতে সরাসরি রচিত নয়, পুরোটাই শ্রুতি লিখন! তিনি তার ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলতেন এবং তাঁরা তা শুনে শুনে লিখতেন। পরে লিখিত কপি তিনি নিজ হাতে সংশোধন করে দিতেন। সে সময় বই প্রকাশের উন্নত সিস্টেম ছিলনা তাই হাতে লিখিত কপিগুলো পড়ার জন্য বাইরে পাঠানো হতো। সাঈদ নুরসী (রহঃ)র শত শত অনুসারীরা এগুলো কপি করে অন্যদের নিকট প্রচার করতেন। এ ধরনের হাজার হাজার ছাত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে তুরস্কের ইস্পার্তা অঞ্চলে ঘরে ঘরে রিসালে নূরের কপি তৈরি হতো। বছরের পর বছর এভাবে রিসালে নূরের কপি হাতে লিখে প্রচার হতে থাকে। বলা হয়ে থাকে, “রিসালে-ই-নূর” এর কপির সংখ্যা প্রায় ৬ লাখে পৌছেছিল । এদিক দিয়ে এটি যুগের এক বিস্ময়ও বটে। ১৯৪৬ সালে আল্লামা সাঈদ নুরসীর (রহঃ) ছাত্রদের নিকট প্রথম কপি করার মেশিন আসে এবং ১৯৫৭ সালে প্রথম এর প্রিন্টিং কপি বাজারে আসে।অবশ্যই যে কোন কর্মকাণ্ড বা সেবার পরিবর্তে আর্থিক মজুরি বা ব্যক্তিগত স্বার্থ বিবেচনা করা হয় তবে রিসালে ই নূরের তালেবরা শুধুমাত্র আল্লাহ সুবহানাল্লাহর রাজী খুশির জন্য কাজ করে। তদুপরি আছে এই মেহনতের অংশ হতে পারার আনন্দ ও তৃপ্তি; আমাদের ভাই ও নাগরিকদের ইসলাম এবং মানবতা অর্জনে সহায়তা থেকে আসা চিরন্তন জান্নাত লাভের সুখ এবং আশা, এই মেহনতের থেকে আমাদের প্রাপ্তি ও পাওনা।